Poschim Bahadurpur Hazibari

Poschim Bahadurpur Hazibari
image

প্রাথমিকে ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের তারিখ ঘোষণা



প্রাথমিকে ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের তারিখ ঘোষণা

 

 বিস্তারিত পড়ুন






শিক্ষক নিয়োগের তারিখ- বছরের শুরুতেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ দেয়া হবে ২৬ হাজার ৩০০ জন শিক্ষক। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন এ তথ্য জানান।




এ বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন করে আরো ২৬৩০০ জন প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। ইতিমধ্যে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা না করতে নিয়ম করা হয়েছে। তবে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকেই এ নিয়োগ বি’জ্ঞপ্তি আসতে পারে।
প্রাথমিকে নতুন চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের নিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের পদায়ন দেয়া হবে চলতি মাসেই। নিয়োগ পাওয়া এসব শিক্ষকদের ক্লাস করানোর দায়িত্ব দেয়া হবে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে।প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল।
সারাদেশে শূন্য আসনের ভিত্তিতে মোট ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্ত ফলাফলে নির্বাচন করা হয়। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে নিজ নিজ উপজে’লায় এসব শিক্ষকদের পদায়ন কার্যক্রম শুরু করা হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের ক্লাস কার্যক্রম শুরু হবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষকদের এসব সহকারী শিক্ষকরা সরাসরি ১৩তম গ্রেডে বেতন-ভাতা সুবিধা পাবে। তবে যোগদানের পর তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আগে সহকারী শিক্ষকদের ১৫তম গ্রেডে যোগদান করতে হতো। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে তারা ১৪তম গ্রেডে বেতন-ভাতা সুবিধা দেয়া হত। বর্তমানে যোগদানের পরেই প্রশিক্ষণ ছাড়াই সহকারী শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়া হবে ১৩তম গ্রেডে।



আবু বক্কর আমার  এক মাত্র ভাগীনা




বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে বড় নিয়োগ
চলতি মাসে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হচ্ছে বড় আকারে নিয়োগ। এ লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে সারাদেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য আসনের তালিকা সংগ্রহ শুরু হচ্ছে। এ নিয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরের নিবন্ধিত প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, সারাদেশের এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য আসনে এনটিআরসিএর নিবন্ধিত প্রার্থীদের মেধাতালিকা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
আগামী সপ্তাহ থেকে সারাদেশের শূন্য আসনের তালিকা সংগ্রহ শুরু হবে, যা চলবে সপ্তাহজুড়ে। তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে নিবন্ধিত প্রার্থীদের কাছে নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হবে। আবেদনকারীদের মধ্যে মেধাতালিকা অনুযায়ী শূন্য আসনের বিপরীতে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ।
জানা গেছে, প্রতিটি আবেদনের বিপরীতে ১৮০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হবে। একজন প্রার্থী একাধিক প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ পাবেন। প্রাপ্ত সব আবেদন জাতীয় মেধারভিত্তিতে বাছাইপূর্বক বিধি মোতাবেক প্রতিটি পদের বিপরীতে চূড়ান্তভাবে একজনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠাবে এনটিআরসিএ।
এরপর নির্বাচিতদের মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে সেই তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে। তবে যেসব প্রার্থীর বয়স ৩৫ অতিক্রম করেনি তারাই এ নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। এনটিআরসিএর ১-১৫তম নিবন্ধিত প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন বলেন, এমপিওভুক্তির নীতিমালা অনুযায়ী গত বছরের মতো এবারও শূন্য আসনে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। সারাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০ হাজার পদ শূন্য। আগামী সপ্তাহে এসব তালিকা সংগ্রহ করে যাচাই-বছাই করা হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ-সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিবন্ধিত প্রার্থীদের কাছে অনলাইনে আবেদন চাওয়া হবে। ইতিমধ্যে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১৯৯ শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আশফাক হুসেন বলেন, নিয়োগের জন্য তালিকা প্রকাশের পর ৩০ দিনের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীকে যোগদান করতে বলা হবে। যদি কেউ এ সময়ের মধ্যে যোগদান না করেন তবে পরবর্তী মেধাতালিকায় যোগ্য প্রার্থীকে যোগ্য বলে বিবেচনা করে তাকে যোগদানের সুযোগ দেয়া হবে।
অন্যদিকে দেশের ৬০৪ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১৯৯ পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৫তম নিবন্ধনের উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
জানা গেছে, সাধারণ শিক্ষায় বৃত্তিমূলক কোর্স চালুর অংশ হিসেবে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। জনবল কাঠামো সংশোধন করে এসব পদের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে। ইতিমধ্যে এসব পদে নিয়োগে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় ৬০৪ স্কুল ও মাদরাসায় এক হাজার ১৯৯ শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হবে।
কর্মকর্তারা জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপরিশ করে এনটিআরসিএ। তার ভিত্তিতে অধিকাংশ প্রার্থী যোগদান করলেও অনেক প্রার্থীকে যোগদান করতে না দেয়া, নানাভাবে অসহযোগিতা, এমপিওভুক্ত না হলেও শূন্য আসনের তালিকা পাঠানো, বিষয় অনুমোদন ছাড়াই তালিকা প্রদান, একটি পদে একাধিক চাহিদা দেয়ায় অনেকে এমপিও সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
ভু’ক্তভু’গীরা বিষয়গুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে লিখিতভাবে জানান। তার ভিত্তিতে এমপিওভুক্তি নীতিমালা সংশোধন করে কড়া নির্দেশনা জারি করে এনটিআরসিএ।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শূন্য আসনের তালিকা মোতাবেক এনটিআরসিএ নিয়োগের জন্য মেধাভিত্তিক প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে। তাই সেসব প্রার্থীকে অতিসত্বর নিয়োগ দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রয়োজনে সেসব প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে শূন্য আসনে এনটিআরসিএর সুপারিশ করা শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। এ আদেশ অমান্য হলে সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যকর কমিটি ভেঙে দেয়া হবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন বলেন, গত বছর শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের পর অনেক প্রার্থী লিখিতভাবে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। সেসবের ভিত্তিতে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিখিতভাবে জানাই। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার পর অনেকের সমস্যা সমাধান হলেও এখনো দুই শতাধিক প্রার্থী যোগদানের বাইরে রয়েছে। তবে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, চলতি মাসে শুরু হওয়া নিয়োগ কার্যক্রমে যাতে এসব সমস্যা না হয় সে জন্য আমরা সজাগ থাকবো। শূন্য আসনের চাহিদাপত্র পাওয়ার পর তা নিবিড়ভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এনটিআরসিএর ১-১৪তম শিক্ষক নিবন্ধত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রায় সাত লাখ প্রার্থী পাস করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এমপিওভুক্ত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী গত বছর থেকে ৩৫ বছরের নিচে প্রার্থীরা নিয়োগের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। চলতি মাসে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।

সংগ্রহ করা হল এখান থেকে লিংক ।

No comments

Theme images by Xaviarnau. Powered by Blogger.